33
গাড়ির এসি ঠিকমতো কাজ করতে নিয়মিত সার্ভিসিং করা জরুরি। সাধারণত প্রতি ৬ মাস থেকে ১ বছর অন্তর এসি সার্ভিস করানো উচিত। এতে এসির গ্যাস রিফিল, ফিল্টার ক্লিনিং ও যন্ত্রাংশ পরীক্ষা করা হয়, যা এসির কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং দুর্গন্ধ ও ঠান্ডা না হওয়ার সমস্যা কমায়।
বাংলাদেশে হাইওয়েতে গাড়ি চালানোর সময় চালকদের গতি সীমা, ওভারটেকিং নিয়ম, ডান লেন ব্যবহার, সিগন্যাল এবং জরুরি ব্রেক ব্যবস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা মেনে চলা বাধ্যতামূলক। হেলমেট ও সিটবেল্ট পরিধান, মোবাইল ব্যবহার না করা এবং গাড়ির ফিটনেস যাচাই করাও অত্যন্ত জরুরি। নিরাপদ ভ্রমণের জন্য এ নিয়মগুলো জানা এবং অনুসরণ করা চালকের দায়িত্ব।
গাড়ির ওয়াইপার ট্যাঙ্কে পানি ঢালার জন্য হুড খুলে নির্দিষ্ট বোতলে বিশুদ্ধ পানি বা ওয়াশার ফ্লুইড ঢালতে হয়। ঢাকনা বন্ধ করে স্প্রে কাজ করছে কিনা পরীক্ষা করুন। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণে পরিষ্কার ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত হয়
গাড়ির এসি কাজ না করলে অনেকেই হতাশ হয়ে যান। তবে চিন্তার কিছু নেই—সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করলে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলে সমস্যাটি সমাধান করা সম্ভব। আধুনিক গাড়িগুলোর এসি সিস্টেম অনেকটা জটিল হলেও দক্ষ টেকনিশিয়ান দ্বারা সহজেই নির্ণয় ও মেরামত সম্ভব। এসি শুধু আরাম দেয় না—বৃষ্টির দিনে কাঁচ পরিষ্কার রাখতেও সহায়তা করে, তাই এর গুরুত্ব অবহেলা করা উচিত নয়।
জলাবদ্ধ রাস্তায় গাড়ি চালানোর আগে রুট যাচাই, পানির গভীরতা পরিমাপ, ধীর গতিতে ও সতর্কতার সঙ্গে চালানো গুরুত্বপূর্ণ। ক্লাচ কন্ট্রোল, হ্যাজার্ড লাইট, ও রাস্তার ট্র্যাক অনুসরণ করলে ঝুঁকি কমে। পানি ঢুকলে ইঞ্জিন স্টার্ট না দিয়ে নিরাপদ স্থানে অপেক্ষা করাই উত্তম। চালানোর পরপরই গাড়ি পরীক্ষা করান এবং প্রয়োজনে মেকানিক দেখান।
এই লেখায় গাড়ির ইঞ্জিন টেম্পারেচার হঠাৎ বেড়ে গেলে কী করণীয়, তার কারণ ও প্রতিকার বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সঠিক পদক্ষেপ ইঞ্জিনকে বড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।
গাড়ির ব্রেক ফেল হওয়া একটি মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে আগেভাগেই কিছু সংকেত দেখে তা এড়ানো সম্ভব। এই লেখায় এমন ৮টি গুরুত্বপূর্ণ সংকেত আলোচনা করা হয়েছে—যেমন অস্বাভাবিক শব্দ, ব্রেক প্যাডের ক্ষয়, ওয়ার্নিং লাইট জ্বলা, ব্রেক ফ্লুইড কমে যাওয়া, কিংবা গাড়ি ব্রেক করলে টান পড়া ইত্যাদি। এসব লক্ষণ সময়মতো বুঝে পদক্ষেপ নিলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যায়। আপনার ও অন্যদের নিরাপত্তার জন্য এই সংকেতগুলো জানা ও খেয়াল রাখা জরুরি।
বিআরটিএ (BRTA) অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স, ধাপে ধাপে আবেদন, ফি পরিশোধ, লার্নার লাইসেন্স, ড্রাইভিং টেস্ট, বায়োমেট্রিক ও স্মার্ট কার্ড ডেলিভারি ২০২৫ সালের নিয়ম তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর, শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি এবং মেডিকেল সার্টিফিকেট আবশ্যক। তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়ে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। লাইসেন্স ফি এবং প্রশিক্ষণ সম্পর্কে BRTA ওয়েবসাইটে বিস্তারিত পাওয়া যায়।